চুম্বক চিকিৎসা কি এবং মানবদেহে এর কার্যকারিতা
চুম্বক চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
চুম্বক চিকিৎসা সাধারন ও সাংঘাতিক রোগ নিরাময় করে এবং দেহের রোগগুলিকে দেহের
ভিতরে ও বাহিরে অচিরেই বিনাশ করে। অনেক
ক্ষেত্রেই চুম্বক চিকিৎসা মন্ত্রের মত কাজ করে ও বংশগত দোষ দূর করে, আগামী প্রজন্মকে মুক্ত রাখে।
এই চিকিৎসা সর্ব্বপ্রকার অভ্যাস দোষ মুক্ত।
এই চিকিৎসা রোগীকে সতেজ, সবল,
কর্য্যক্ষম রাখে এবং স্মৃতি শক্তি বাড়ায় তথা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে সাহায্য করে।
এই চিকিৎসায় কোন সাইড এফেক্ট নেই।
এই চিকিৎসায় প্রায় সকল দুরারোগ্য রোগই চির আরোগ্য হয় বা
ক্ষতি হয়না।
চুম্বক চিকিৎসায় রোগীকে শল্যচিকিৎসা, ইনফেকশন বা মারাত্মক কুফলজনিত প্রচুর ঔষধ সেবন ও বিরক্তিকর কষ্ট হতে মুক্তি দেয়।
অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে যে রোগ অনেক সময় আরোগ্য করা দুঃসাধ্য, চুম্বক চিকিৎসায় প্রায় সুসাধ্য।
চুম্বক চিকিৎসার সাথে হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক, অ্যাকুপ্রেসার ইত্যাদি চিকিৎসাও বিরাট ফলপ্রদ।
কোন ব্যক্তি যদি শরীরে চুম্বক শক্তি কোনভাবে প্রয়োগ করেন, তবে তাহার
পক্ষে উহা যোগব্যায়াম, ফিজিওথেরাপি এবং মণিংওয়াক - এর সমান।
ম্যাগনেটোথেরাপি বা চুম্বক চিকিৎসা এক সুবৃহৎ চিকিৎসা পদ্ধতি। ইহা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক কলা বা সাইন্টিফিক আর্ট। ইহা কেবল রোগ আরোগ্যই করে না, উপরন্তু মানবজাতিকে
(সুস্বাস্থ্য তথা বাড়তি ওজন কমিয়ে) সৌন্দর্যদানেও সাহায্য করে।
এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে ও প্রয়োজনের তাগিদে ক্রমে ক্রমে জাপান, চীন, পূর্বতন ইউ.এস.এস.আর.
ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে রোগমুক্ত সুস্বাস্থ্য, যৌবন ও সৌন্দর্য্য রার জন্য এক নিখুঁত চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে এবং বর্ধমান ও দুর্গাপুরের বুকেও এই চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
জীবন রক্ষাকারী
রক্ত প্রবাহ
ক্ষীণ বা দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরে চুম্বক শক্তি হ্রাস পায় এবং বহু গ্ল্যান্ড যথা পিটুইটারী, থাইরয়েড, এড্রন্যাল, পিনিয়াল প্রভৃতির কার্য মতা হারিয়ে মস্কিষ্ক ও স্মরণশক্তি বা মেধা ইত্যাদিকে দুর্বল করেনা, না জটিল রোগের সৃষ্টি করে। চুম্বক চিকিৎসা প্রয়োগ দ্বারা শরীরের দুর্বল যন্ত্র সবল করে
রোগাক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলে।
চুম্বক চিকিৎসার দ্বারা রক্তস্থিত ক্যালসিয়াম, কোলেস্টেরল এবং হাড় ও পেশীর দুর্বলতা নাশ বা রক্তের দূষিত পদার্থ যা রক্তস্রোতকে নিখুঁত প্রবাহে বাধা দেয়, তাদের অতি সত্বর
দূর করার চেষ্টা করে এবং উচ্চ-রক্তচাপ, হৃৎপিন্ডের নানা রকম রোগ বা নানা
অস্বস্তিকর অবস্থার অবসান ঘটায়। চুম্বক শক্তি বিভিন্ন গ্ল্যান্ডগুলির সামঞ্জস্যপূর্ণ রসরণও রক্ত সঞ্চালনকে সুষম রাখে।
আমাদের সর্বদা মনে রাখা উচিৎ, এই চিকিৎসা পদ্ধতি আজ বিশ্বে বিজ্ঞানের এক অপরিসীম দান, যার দ্বারা রোগকিষ্ট যন্ত্রণা যুক্ত রোগীর
ক্ষেত্রে এই শ্রেষ্ঠ চুম্বক চিকিৎসার উপর আজ সমাজের অসুস্থ রোগীর এবং তার কর্তাব্যক্তিদের দৃঢ় বিশ্বাস সহ
ধৈর্য্যের একান্ত প্রয়োজন।
কোন কোন রোগে চুম্বক চিকিৎসা অধিক ফলপ্রদঃ- সব রকম বয়াবহ বাত, আর্থাইটিস, কোমরের ব্যথা, ঘাড় ও কোমরের স্পন্ডেলাইটিস, প্যারালাইসিস, হাঁপানী, টিউমার, টনসিলাইটিস, গলাব্যথা, সর্দ্দিকাশি, সাইনাস ও চোখের যাবতীয় ব্যধি, ব্রঙ্গাইটিস, কিডনীর রোগ
(হাত-পা ফোলা), প্রস্রাবের রোগ, সুগার, গ্যাসঅম্বল, ভুড়ি কমানো ও মেদ বৃদ্ধি হ্রাস, অর্শ, ভগন্দর, রজঃস্রাব ও শ্বেতপ্রদর প্রভৃতি। চোখের রোগে ও সাইনাসের মন্ত্রের মতকাজ করে।
আঘাত পেলে বা কেটে গেলে, বিছা-মৌমাছি-বোলতা কামড়ালে, চাপা গেলে, পুড়ে গেলে, শরীরে লোহা বা গজাল ঢুকলে এবং প্রস্রাব বন্ধ হলে বিপদের সময় ম্যাগনেট দুটি ওই জায়গায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, সাথে সাথে যন্ত্রণা কম হবে। মাতা পিতা যেমন কখন কোন অবস্থাতে
সন্তানের অশুভ কামনা করেন না চুম্বক চিকিৎসাও কোন
ক্ষেত্রে শরীরের
ক্ষতি করে না।
চুম্বক চিকিৎসার দ্বারা শরীরের যে উন্নতি হয় তাহার প্রতিদান দেওয়ার মত আমাদের কারোর কোনও
ক্ষমতা নেই। ডাঃ বাবুলাল দে-র আজ ২০ বৎসরের এই কথা বাংলার বুকে ও বাঙ্গালীদের জন্য।
|